Farmzila Foods Ltd

Address

267/274, Cosmopoliton Road,East Nasirabad, Panchlaish,Chattogram.

Hotline

01701444446
01888227787

E-mail

info@farmzila.com.bd
support@farmzila.com.bd

পেটের ভালো ব্যাকটেরিয়া বদলে দিতে পারে জীবন?
পেটের ভালো ব্যাকটেরিয়া বদলে দিতে পারে জীবন?

অনেকেই গাট (অন্ত্র) মানে আসলে কী, সেটাই বুঝতে পারছেন না। সোজা ভাষায় বললে—গাট মানে হচ্ছে আমাদের হজমতন্ত্র। গাট শুরু হয় আমাদের ঠোঁট থেকে। আমরা যা খাই তা মুখে আসে—এখানেই আমাদের ইমিউন সিস্টেমের প্রথম স্তর থাকে, যেমন স্যালাইভারি গ্ল্যান্ড থেকে উৎপন্ন লালা, যা সংক্রমণ থেকে প্রথম প্রতিরক্ষা দেয়।

এরপর খাবার চলে যায় গলায় এবং তারপর খাদ্যনালী দিয়ে পাকস্থলীতে। পাকস্থলীতে এসে খাবার কিছুটা সময় ধরে জমে থাকে এবং চূর্ণ হতে শুরু করে—ঠিক যেন চাকার মতো ঘুরে ঘুরে ভেঙে দেওয়া হয়।

এখানেই থাকে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl), যা হজমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এইচসিএল কমে গেলে আমাদের প্রথম অসুস্থতা শুরু হয়। আবার যদি এটি বেশি তৈরি হয়, তাহলেও সমস্যা হয়। অনেকেই জানেন না, এই অ্যাসিড না-থাকার কারণ আপনার গাট থেকে সঠিক সংকেত না যাওয়া।

আপনি যদি মানসিকভাবে অশান্ত থাকেন, যদি আপনার ব্রেন থেকে ঠিকভাবে সংকেত না যায়, তবে হজমতন্ত্র ঠিকমতো কাজ করবে না। ফলে শুরু হয় প্রথম অসুখ—লো অ্যাসিডিটি, যা খুবই বিপজ্জনক।

এরপর খাদ্য যায় ক্ষুদ্রান্তে (স্মল ইন্টেস্টাইন), যেটি প্রায় ৭ মিটার দীর্ঘ। এখানে খাবারের গুণাগুণ রক্তে শোষিত হয়। কিন্তু এখানেও আছে একটি “ফিল্টার”—যেটাকে বলে গাট লাইনিং। সমস্যার শুরু হয় যখন এই গাট লাইনিং-এ ছিদ্র হয়। তখন শুধু পুষ্টি নয়, ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াও রক্তে প্রবেশ করে।

এইসব মৃত ব্যাকটেরিয়ার অংশ বিশেষকে বলে LPS (লিপোপলিস্যাকারাইডস)। এই বিষাক্ত পদার্থগুলো যখন রক্তে প্রবেশ করে, তখন শরীরে অসংখ্য রোগ দেখা দেয়। এগুলো সরাসরি লিভার, হৃদপিণ্ড, ব্রেন পর্যন্ত পৌঁছে যায়।

এই সমস্যাটিকে বলে লিকি গাট সিনড্রোম, এবং আমরা অনেক সময় এটাকে বুঝতে পারি না। তখন আমরা শুধু বলি—“গ্যাস হচ্ছে”, “অম্বল হচ্ছে”, বা “পেট ফাঁপছে”। কিন্তু আসল কারণ লুকিয়ে থাকে এই ছিদ্রযুক্ত গাটে।

এখন আমি ব্যাখ্যা করব, কীভাবে ছোট অন্ত্রে ভুল ব্যাকটেরিয়া পৌঁছলে ভয়ঙ্কর সমস্যা হয় এবং এটা কীভাবে আমাদের আচরণ, সিদ্ধান্ত, এমনকি সম্পর্কেও প্রভাব ফেলে।

লিকি গাট সিনড্রোম অসুখটি সবচেয়ে বিপজ্জনক এবং তা প্রায় সব দক্ষিণ এশিয়া মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। এই সমস্যার শুরু হয় আমাদের খাদ্যাভ্যাস এবং চিন্তার ধরনে। আমরা যা খাচ্ছি এবং যেমনটা ভাবছি—সেটার প্রভাব পড়ছে আমাদের স্মল ইন্টেস্টাইন অর্থাৎ ক্ষুদ্রান্তে।

প্রথমত, যখন আমরা জন্মা গ্রহন করি, তখন আমাদের মা এবং আশপাশের পরিবেশ থেকে ভালো ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। এগুলোকেই বলে গুড ব্যাকটেরিয়া, যেগুলো পরে গিয়ে আমাদের বৃহদান্ত্রে (লার্জ ইন্টেস্টাইন) স্থায়ী হয়ে পড়ে। ওখানেই তারা আমাদের শরীরকে নানাভাবে সাহায্য করে—
যেমন:

  • সেরোটোনিন তৈরি করে (যা আমাদের সুখানুভূতির জন্য দায়ী),
  • অক্সিটোসিন তৈরি করে (ভালবাসা ও সম্পর্কের অনুভূতির জন্য জরুরি),
  • আমাদের ইমিউনিটি ৯৫% পর্যন্ত সুরক্ষিত রাখে,
  • মুড স্থির রাখতে সাহায্য করে,
  • এবং পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নত করে।

কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আমরা এই গুড ব্যাকটেরিয়া-দের যথেষ্ট যত্ন নিই না। বিশেষ করে বৃহদান্ত্রে থাকা এই ব্যাকটেরিয়া-দের ঠিকভাবে খাবার (ফাইবার, প্রোবায়োটিক, প্রিবায়োটিক) না দিলে, তাদের সংখ্যা কমে যায়।

এখন যখন গুড ব্যাকটেরিয়া দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন ব্যাড ব্যাকটেরিয়া সংখ্যায় বাড়তে থাকে। সাধারণত তারা বড় অন্ত্রে থাকে, কিন্তু তখন তারা ভুল পথে ছোট অন্ত্রে চলে আসে।
এই যাত্রাটা প্রায় ২১ ফুট লম্বা পথ ধরে হয়—এবং সেখানে গিয়ে তারা বসতি গড়ে।

এই অবস্থাটিকে বলে – SIBO (Small Intestinal Bacterial Overgrowth)
মানে: ক্ষুদ্রান্তে অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়ার বাস।
তখন আপনি হয়তো বলবেন, “থাক, এরা তো থাকুক!” কিন্তু সমস্যাটা এখানেই শুরু হয়।

এই ব্যাকটেরিয়া যখন ক্ষুদ্রান্তে স্থায়ী হয়, তখন তারা আমাদের কাছ থেকে চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট দাবি করে। তারা ‘ক্রেভিং’ তৈরি করে—মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করে, লাড্ডু খেতে মন চায়, পাস্তা, ব্রেড, পিজ্জা খেতে ইচ্ছা করে। আপনি ভাবছেন এই ইচ্ছেটা আপনার নিজের, কিন্তু না—এটা আসলে ব্যাড ব্যাকটেরিয়ার চাহিদা।

আর সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয়টা হলো, যখন এই ব্যাকটেরিয়া মারা যায়, তখন তাদের শরীর থেকে নির্গত হয় Endotoxins — এগুলোই হলো LPS (Lipopolysaccharides)
এই মৃতদেহের অংশ রক্তে মিশে গিয়ে অসংখ্য রোগ তৈরি করে।

🦠 এই বিষাক্ত পদার্থ কীভাবে আপনার মস্তিষ্ক, মুড, শরীরের ব্যথা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলে, তা আলোচনা করবো।

এই খারাফ ব্যাকটেরিয়া যখন মারা যায়, তখন তাদের শরীর থেকে যে বিষাক্ত উপাদান বের হয়, তাকে বলে এন্ডোটক্সিন (Endotoxins)—বিশেষত LPS (Lipopolysaccharides)। এটা এতটাই বিষাক্ত যে, যদি এটা একবার রক্তে ঢুকে যায়, তাহলে তা সম্পূর্ণ রক্তপ্রবাহে ছড়িয়ে পড়ে এবং অসংখ্য সমস্যা তৈরি করে।

এর ফলে আপনি অনুভব করতে পারেন:

  • দেহব্যাপী ব্যথা (Body pain),
  • মাথাব্যথা,
  • মুড সুইংস (হঠাৎ মন খারাপ বা রাগ),
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারে দুর্বল হয়ে পড়া।

যখন ইমিউন সিস্টেম এই টক্সিনের সঙ্গে লড়াই করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তখন শুরু হয় Autoimmune Disorders—মানে আপনার শরীর নিজেকেই আক্রমণ করতে শুরু করে।

এছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে শরীর অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে এবং দেখা যায় অ্যালার্জি, স্কিন প্রবলেম, আঁচিল বা র‌্যাশ, এমনকি হরমোনাল ইমব্যালেন্স

যারা প্রোটিন ডায়েট করছেন বা অতিরিক্ত পরিমাণে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট নিচ্ছেন, তারা জানেন না যে, যদি আপনার পাকস্থলীতে যথেষ্ট অ্যাসিড না থাকে, তাহলে সেই প্রোটিন হজম না হয়ে সরাসরি স্মল ইন্টেস্টাইনে চলে যায় এবং সেখানে রটন (পঁচন) শুরু হয়। এর ফলে ছোট অন্ত্রে ফাংগাল ইনফেকশন শুরু হতে পারে।

এই দুটি সমস্যা—

  • SIBO (Small Intestinal Bacterial Overgrowth)
  • SIFO (Small Intestinal Fungal Overgrowth)
    একসঙ্গে চলতে থাকে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

এছাড়াও, উৎসব বা পার্টির সময় আমরা মিষ্টি খাবার বেশি খাই, এবং প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসেও থাকে অপ্রয়োজনীয় চিনি, দুধ, বা তেল-মসলা। ফলে গাটের ক্ষতি বাড়তেই থাকে।

কিন্তু আমাদের শেখানো হয়নি—কতটা খেতে হবে, কতটা চিনি বা দুধ নেওয়া নিরাপদ। আমরা শুধু “মজা লাগছে” ভেবে খেয়ে যাচ্ছি।

এইভাবে একটার পর একটা রোগ তৈরি হয়।

 

🦠 এখন  আলোচনা করব, কীভাবে গাটের ব্যাকটেরিয়া মাথার চুল পড়া, সম্পর্কের অবনতি, এমনকি আত্মহননের প্রবণতার সঙ্গেও যুক্ত।

আমাদের বৃহদান্ত্রে (লার্জ ইন্টেস্টাইন) প্রায় ১০০ ট্রিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া থাকে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো দ্বৈত স্তরের গাট লাইনিং (ডাবল মিউকাস এবং ডাবল ফিল্টার) দিয়ে রক্ষিত থাকে। এই ‘গুড ব্যাকটেরিয়া’-রা আমাদের শরীরের জন্য এতটাই উপকারী কাজ করে যে, তাদের ছাড়া জীবন প্রায় অসম্ভব।

আমি নিজেও যখন ব্যাকটেরিয়ার ওপর কাজ শুরু করি, তখন লক্ষ্য করি আমার চুলের বৃদ্ধিও বেড়ে যায়। একজন নারী, যিনি সিঙ্গল মাদার, তিনি বলেছিলেন, “মা, তুমি তো একদিন পুরোপুরি গঞ্জে (টাক) হয়ে যাবে।” কিন্তু এখন তাঁরও মনে হচ্ছে তিনি হয়তো কমস হেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিততে পারেন, কারণ তিনি নিজের গাট ও ব্যাকটেরিয়ার যত্ন নিচ্ছেন।

বড় অন্ত্রে থাকা এই ব্যাকটেরিয়ারা আমাদের শরীরে জীবন এনে দেয়। দুঃখজনকভাবে, আজ আমাদের দাদু-ঠাকুর্দার সময়ে যেসব গাট ব্যাকটেরিয়া ছিল, তারা আজকের প্রজন্মের অন্ত্রে আর নেই। প্রকৃতি বদলে গেছে, আর তাই বদলে গেছে আমাদের মানবিক সম্পর্ক, মেজাজ, ও আচরণ

আপনি কি জানেন, সম্পর্ক গঠনের জন্যও আলাদা ব্যাকটেরিয়া লাগে? আর সম্পর্ক ভাঙার পেছনেও থাকে অন্য ধরনের ব্যাকটেরিয়া।

আপনার পরিবারে, পাড়া-প্রতিবেশে বা বন্ধুদের মধ্যে যদি কেউ অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে, যেমন গাড়ি দ্রুত চালানো, নিজের জীবনকে বিপন্ন করা—তাহলে বুঝবেন, তার অন্ত্রে বাস করছে এমন একটি ব্যাকটেরিয়া যার নাম Toxoplasma Gondii

এই ব্যাকটেরিয়ার জীবনচক্র এমন, যে এটি পৃথিবীর মাটি থেকে একজন প্রাণীর শরীরে ৫ বছর পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। এবং একবার দেহে ঢুকে গেলে এটি ধীরে ধীরে মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে। আজ প্রায় ৩০% মানুষ এই ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা সংক্রমিত।

এটি আমি বলছি না—আপনি চাইলে GPT বা কোনো রিসার্চ জার্নালে খুঁজে দেখতে পারেন।

যদি আপনার কাছের কেউ আত্মবিধ্বংসী আচরণ করে, প্রতিটি বিষয়ে ক্ষিপ্ত হয়, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে না পারে—তাহলে ধরে নিতে পারেন, তাঁর গাটে Lactobacillus reuteri নামের গুড ব্যাকটেরিয়া বিলীন হয়ে গেছে।
আর এটাই ছিল যে ব্যাকটেরিয়া আমাদের মস্তিষ্কে অক্সিটোসিন তৈরি করত—যেটি ভালোবাসা ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার জন্য দায়ী।

🦠 শুনে আশ্চর্য লাগলেও সত্য, এই “গাট” আসলে কোনো সাধারণ পাইপ নয়—এটি আমাদের জীবনের মূল কেন্দ্র। এই অন্ত্রের সঙ্গে আমাদের মস্তিষ্কের সরাসরি সংযোগ আছে ভেগাস নার্ভ নামের একটি বিশেষ স্নায়ু পথের মাধ্যমে। যেকোনো কিছু আপনি ভাবছেন, অনুভব করছেন—তার প্রতিক্রিয়া আপনার অন্ত্রে পৌঁছে যায়, আবার গাট থেকে মস্তিষ্কেও ফিরে আসে সিগন্যাল।

এই ভেগাস নার্ভের কাজ হল:

  • শরীর থেকে ব্রেনে সংকেত পাঠানো (৮০%),
  • এবং ব্রেন থেকে শরীরে সংকেত পাঠানো (২০%)।

যখনই আপনার মনের মধ্যে কোনো চিন্তা আসে, যেমন আপনি ঠিক করলেন, “আমি বাম হাতটা তুলব”—সঙ্গে সঙ্গে ব্রেনের সংকেত যায় স্নায়ু মাধ্যমে, আর হাত ওঠে। যদি স্নায়ু অবরুদ্ধ থাকে, তাহলে সেই সংকেত পৌঁছাতে পারে না। এইভাবে শরীর ও মনের প্রতিক্রিয়া ভেগাস নার্ভ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

এখন ধরুন, আপনি মানসিক চাপে আছেন—চিন্তা, দুশ্চিন্তা, ভয়, মানসিক আঘাত, সম্পর্কের জটিলতা, ভবিষ্যতের অস্থিরতা ইত্যাদি আপনার গাটকে দুর্বল করে তোলে। আপনি হয়তো জানেন না, কিন্তু এই মানসিক অবস্থা সরাসরি ভেগাস নার্ভ হয়ে গাটে পৌঁছায় এবং আপনার অন্ত্রে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।

তখন আপনার:

  • হজমে সমস্যা হয়,
  • হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়,
  • হাত কাঁপতে শুরু করে,
  • ঘুম ব্যাহত হয়,
  • রাগ বা বিষণ্নতা বাড়ে।

ভেগাস নার্ভ একটি দুইমুখী যোগাযোগের রাস্তা, যা পুরো শরীর ও মনের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করে। এটি একদিকে শরীরের অঙ্গগুলিতে ব্রেনের নির্দেশ পৌঁছে দেয়, আবার অন্যদিকে গাট ও অন্যান্য অঙ্গ থেকে ব্রেনে তথ্য পাঠায়।

চিকিৎসা বিজ্ঞান বিজ্ঞানী-র মতো অনেক গুরুতর জ্ঞানী ব্যক্তিও এই ভেগাস নার্ভ নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু আমি আপনাদের সহজ ভাষায় জানাতে চাই—এটি কেবল একটি স্নায়ু নয়, বরং এটি আপনার মন, শরীর অনুভূতির মধ্যে সেতুবন্ধন

🦠 এখন আমরা আলোচনা করব—আপনার গাট যখন ভেগাস নার্ভের মাধ্যমে ব্রেনকে বার্তা দিতে পারে না, তখন কী ঘটে। কেন মানুষ অতিরিক্ত খেতে থাকে, ক্রেভিং বাড়ে, এবং ব্রেন “পূর্ণতা” অনুভব করতে পারে না।

এখন ধরুন, আপনি খাবার খাচ্ছেন, এবং গাটে পর্যাপ্ত খাবার পৌঁছেছে—তবুও আপনার মস্তিষ্ক বলছে, “আরেকটা রুটি খাও”, “একটা পরোটা আর খাও”, বা “আরেকটু কিছু খেলে ক্ষতি নেই।” তখন আপনি ভাবছেন, “আমার খিদেটা বোধহয় শেষই হচ্ছে না!”

আসলে, আপনার গাট ঠিকমতো ভেগাস নার্ভের মাধ্যমে ব্রেনকে বার্তা পাঠাতে পারছে না যে, “আমি পরিপূর্ণ, আর খাবার দরকার নেই।”
এই সিগন্যাল না পৌঁছনোর কারণ:

  • হয় গাট দুর্বল হয়ে গেছে,
  • না হয় ভেগাস নার্ভ নিষ্ক্রিয় (deactivated) হয়ে আছে।

ফলে আপনি না জেনেই অতিরিক্ত খাচ্ছেন। এটাই হলো ভেগাস নার্ভ ডিসকানেকশন—যেখানে শরীর বলছে “পর্যাপ্ত”, কিন্তু ব্রেন শুনতে পাচ্ছে না।

এখন ধরুন, কেউ গাট ঠিক করে দিচ্ছে—অনেক বিশেষজ্ঞ গাট হিলিংয়ের কাজ করছেন, অনেকে এনএলপি ও মাইন্ড পাওয়ারের মাধ্যমে ব্রেনকে শান্ত করছেন। তবুও যদি ভেগাস নার্ভ কাজ না করে, তাহলে ব্রেন বা গাট কোনো দিক থেকেই সঠিক তথ্য আদান-প্রদান সম্ভব নয়।

এ কারণেই—

  • কখনও অ্যাসিডিটি ঠিক হয় না,
  • মুড সুইংস বারবার হয়,
  • অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে না,
  • ইমোশন কন্ট্রোল হয় না।

আমরা হয়তো শরীরের রোগ দেখে ওষুধ খাই, আবার মানসিক চাপ দেখে কাউন্সেলিং নিই, কিন্তু ভেগাস নার্ভ যদি ডরম্যান্ট বা ব্লক থাকে, তাহলে শরীর ও মনের মধ্যকার মূল সেতু ভেঙে যায়

আর এটা যদি একবার বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে শরীর মস্তিষ্ককে জানাতে পারে না, “আমি কষ্টে আছি”, “আমি অসুস্থ”, কিংবা “এতটাই খেয়েছি যে যথেষ্ট হয়েছে।” আপনি তখন মেকানিক্যালি খেতে থাকবেন—ভাববেন: “এই বাদামটাও খেয়ে নিই”, “এই মিষ্টিটাও চলে যাক।”

এখন আলোচনা করব, কীভাবে এই ভেগাস নার্ভকে আবার সচল (reactivate) করা যায় এবং কীভাবে এই গাট-মাইন্ড সংযোগ আবার ব্যালেন্সে আনা যায়।

এখন ধরুন, আপনি খাবার খাচ্ছেন, এবং গাটে পর্যাপ্ত খাবার পৌঁছেছে—তবুও আপনার মস্তিষ্ক বলছে, “আরেকটা রুটি খাও”, “একটা পরোটা আর খাও”, বা “আরেকটু কিছু খেলে ক্ষতি নেই।” তখন আপনি ভাবছেন, “আমার খিদেটা বোধহয় শেষই হচ্ছে না!”

আসলে, আপনার গাট ঠিকমতো ভেগাস নার্ভের মাধ্যমে ব্রেনকে বার্তা পাঠাতে পারছে না যে, “আমি পরিপূর্ণ, আর খাবার দরকার নেই।”
এই সিগন্যাল না পৌঁছনোর কারণ:

  • হয় গাট দুর্বল হয়ে গেছে,
  • না হয় ভেগাস নার্ভ নিষ্ক্রিয় (deactivated) হয়ে আছে।

ফলে আপনি না জেনেই অতিরিক্ত খাচ্ছেন। এটাই হলো ভেগাস নার্ভ ডিসকানেকশন—যেখানে শরীর বলছে “পর্যাপ্ত”, কিন্তু ব্রেন শুনতে পাচ্ছে না।

এখন ধরুন, কেউ গাট ঠিক করে দিচ্ছে—অনেক বিশেষজ্ঞ গাট হিলিংয়ের কাজ করছেন, অনেকে এনএলপি ও মাইন্ড পাওয়ারের মাধ্যমে ব্রেনকে শান্ত করছেন। তবুও যদি ভেগাস নার্ভ কাজ না করে, তাহলে ব্রেন বা গাট কোনো দিক থেকেই সঠিক তথ্য আদান-প্রদান সম্ভব নয়।

এ কারণেই—

  • কখনও অ্যাসিডিটি ঠিক হয় না,
  • মুড সুইংস বারবার হয়,
  • অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে না,
  • ইমোশন কন্ট্রোল হয় না।

আমরা হয়তো শরীরের রোগ দেখে ওষুধ খাই, আবার মানসিক চাপ দেখে কাউন্সেলিং নিই, কিন্তু ভেগাস নার্ভ যদি ডরম্যান্ট বা ব্লক থাকে, তাহলে শরীর ও মনের মধ্যকার মূল সেতু ভেঙে যায়

আর এটা যদি একবার বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে শরীর মস্তিষ্ককে জানাতে পারে না, “আমি কষ্টে আছি”, “আমি অসুস্থ”, কিংবা “এতটাই খেয়েছি যে যথেষ্ট হয়েছে।” আপনি তখন মেকানিক্যালি খেতে থাকবেন—ভাববেন: “এই বাদামটাও খেয়ে নিই”, “এই মিষ্টিটাও চলে যাক।”

এখন আলোচনা করব, কীভাবে এই ভেগাস নার্ভকে আবার সচল (reactivate) করা যায় এবং কীভাবে এই গাট-মাইন্ড সংযোগ আবার ব্যালেন্সে আনা যায়।


পেটের ভালো ব্যাকটেরিয়া বদলে দিতে পারে জীবন?

আপনি কি বিশ্বাস করতে পারেন, যে আমাদের গলব্লাডারে যেসব ‘স্টোন’ (পাথর) তৈরি হয়, সেগুলো আসলে পাথর নয়? ওগুলো হচ্ছে খারাপ ব্যাকটেরিয়া, যারা একসময় জীবিত ছিল। এই ব্যাকটেরিয়া আমাদের রক্ত থেকে লিভারে, সেখান থেকে গলব্লাডারে পৌঁছায়, এবং সেখানে ধীরে ধীরে জায়গা দখল করে এক ধরনের মিডিয়াম তৈরি করে—একটি ক্যামিক্যাল রিঅ্যাকশন শুরু করে দেয়।

যদি আপনার আশেপাশে, পরিবারে বা বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে এমন কেউ থাকে, যে খুব দ্রুত গাড়ি চালায়, বিপজ্জনক স্টান্ট করে বা জীবনকে হেলাফেলা করে, তাহলে বুঝে নেবেন তার অন্ত্রে একধরনের ব্যাকটেরিয়া বাস করছে। আমি এর নামও বলতে পারি—টক্সোপ্লাজমা গন্ডি। এটি এমন একটি ব্যাকটেরিয়া যা মানুষের আচরণে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

আমার গবেষণা মূল উদ্দেশ্য হলো পরিবর্তন আনা—মানুষের স্বাস্থ্যকে উন্নত করা, সহজ ভাষায় বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করা। কারণ, যদি আপনি নিজের চিকিৎসক না হন, তাহলে আপনি সহজেই প্রতারিত হতে পারেন। যেকোনো ধরণের মানসিক বা শারীরিক সমস্যা—দুশ্চিন্তা, মানসিক ট্রমা, সম্পর্কের জটিলতা বা ভবিষ্যতের প্রতি অনিশ্চয়তা—সবকিছুর ছাপ পড়ে আপনার শরীরে।

আপনার চিন্তা-ভাবনা, আপনার ইমোশন, আপনার অতীতের অভিজ্ঞতা—সবকিছু আপনার শরীরের প্রতিটি কোষে প্রতিফলিত হয়। বিশেষ করে, এর প্রভাব পড়ে ভেগাস নার্ভ-এর মাধ্যমে যা সরাসরি গাট বা অন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত।

 

লেখক:
মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম চৌধুরী
খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক গবেষক

 


 

References:   The clever guts diet   ||  Mind-gut Connection

 


আরো পড়ুনঃ-

0
    0
    Your Cart
    Your cart is emptyReturn to Shop